Skip to main content

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের তালিকা | Recommended list of Non-govt. teachers

https://edutechinfobd.blogspot.com
গত ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪০ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করেছে এনটিআরসিএ। যে কোন সময় এই তালিকা এনটিআরসিএ-তাদের অফিসিয়াল সাইটে প্রকাশ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। প্রার্থীরা তাদের নিয়োগের বিষয়টি ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবে। তাছাড়া নিয়োগকৃত শিক্ষকের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। একই সাথে নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে উক্ত শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নিয়োগের সুপারিশের ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশকৃত শিক্ষককে যোদদানের জন্যও বলা হয়েছে। এতে সর্বমোট ৩১ লাখ আবেদন জমা পরে।
  • তালিকা দেখতে এসটিআরসিএ-র  ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এছাড়া সুপারিশকৃত শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তাদের স্ব-স্ব সুপারিশ পত্রটি ডাউনলোড করতে পারবে। ডাউনলোড করতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন।
এর আগে গত দুই বছর শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে চরম ভোগান্তি পরে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান কার্যক্রমও ব্যাহত হয়। ফলে এই নিয়োগটিকে আর্শীবাদ হিসেবেই নিয়েছে শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা। কারণ দীর্ঘদিন চাকরির আশায় বসে থেকে হতাশ হচ্ছিল দেশের লাখ লাখ শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। নিয়োগ কার্যক্রম চালু হওয়ায় তাদের চোখে-মুখে নতুন আশার হাতছাঁনি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার কিছু অসঙ্গতি নিয়েও রয়েছে নানা বির্তক। যেমন, আবেদন ফি ১৮০ টাকা কেন ধার্য করা হলো, ৩৫ উর্ধ্বরা আবেদনের সুযোগ পাবে না, শূন্য পদের চাহিদার তালিকাতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তথ্য প্রেরণে ভুল হওয়া ইত্যাদি।
http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/
https://edutechinfobd.blogspot.com

একটি অবাক করা বিষয় ও তথ্য এই আবেদনের ফলে প্রকাশ পায়, সেটি হলো দেশে শিক্ষত বেকারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ৩১ লাখ আবেদন পত্রের শেষ দিনেই জমা পড়েছে ৬ লাখ আবেদনপত্র। যেটি দেশের জন্য মোটেও সুখকর খবর নয়। একটি জাতির এত সংখ্যক শিক্ষতরা যদি বেকার থাকে তবে দেশ তরুণদের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। সাথে সাথে জাতির মেধার অপচয় তো হয়ই, বেড়ে যায় হতাশা। অন্যদিকে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও বেশ নাজুক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার অভাব, শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের ধীরগতি, কোচিং বাণিজ্য, শিক্ষকের বেতন-ভাতাদিতে বৈষম্য, এমপিও না দেওয়া, শত শত রিট, অজস্র ও খামখেয়ালী পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপন জারি, অহেতুক জটিলতা সৃষ্টিকারী নিয়মের বেড়াজাল, মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হওয়া, ম্যানেজিং কমিটির ও ক্ষেত্র বিশেষে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দৌরাত্ম, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ইত্যাদি নানামুখী সমস্যায় জর্জড়িত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের দাবী ও মতামত হলো, একমাত্র জাতীয়করণই পারে দেশের শিক্ষার বেহাল অবস্থার যুগোপযোগী সমাধান আনয়ন করতে। সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাই তাকিয়ে আছে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষকসমাজ। কেননা মাধ্যমিক শিক্ষার ভীত শক্ত করতে না পারলে দেশের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে অনেক প্রতিকূলতা পাড় করতে হবে।
মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে জাতীয়করণ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। তাছাড়া এটি হতে পারে বর্তমান সরকারের একটি ঐতিহাসিক সাফল্য। আর এ জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে আরো বেশি উদ্যোগী ও আন্তরিক হতে হবে। এতে করে শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যবস্থা নয়, গোটা জাতির আমূল উন্নয়ন ও উপকার হবে অদূর ভবিষ্যতে। এর সুফল ভোগ করবে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, যারা হাল ধরবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের। শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি ছাড়া বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলাটা ভবিষ্যতে প্রায় এক প্রকার অসম্ভবই হয়ে যাবে। তাই, সে লক্ষ্যে এখনই আমাদেরকে উদ্যোগী হতে হবে। নয়ত, জাতি পিঁছিয়ে পড়বে। আশা করি শিক্ষার সব সমস্যা দূর হয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনয়ন সাধিত হবে সকলের মিলিত প্রচেষ্টায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার লক্ষ্যে।


Comments

Popular posts from this blog

SSC Board Question 2020 | ২০২০ সালের এসএসসি বোর্ড প্রশ্ন

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গতবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী কমেছে সাড়ে ৮৭ হাজার। চলতি বছর ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি, ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী দাখিল এবং ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫জন শিক্ষার্থী এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি সাইটে উক্ত পরীক্ষার সকল প্রশ্ন ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে যাতে করে পরবর্তী বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতিকে আরো বেগবান করতে পারে। বাকী প্রশ্নগুলো পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই আপলোড করা হবে। বোর্ডকর্তৃক যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ- পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের তাদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/ রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষ...

JSC Board Question | বিভিন্ন বছরের জেএসসি পরীক্ষার বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ

জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষাটি ২০১০ সালে শুরু হয়। ৮ম শ্রেণিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বোর্ড পরীক্ষাটি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার মধ্য দিয়ে তাকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হয়। জেএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য না হলে কোন শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণি অর্থাৎ ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে না। ফলে শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়বে। কাজেই একজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পাশের জন্য এই ধাপটিতে উত্তীর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরী। পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল করার জন্য নিয়মিত প্রস্তুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেক্ষেত্রে প্রচলিত সিলেবাস অনুযায়ী বিভিন্ন বছরের বোর্ড পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহের বিশ্লেষণ দ্বারা একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণ করলে প্রস্তুতিটি স্বার্থক হয়। আর এই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে edutechinfobd ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরের পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ অনলাইনে সংরক্ষণ করার কাজ শুরু করেছে। এটিকে জেএসসি পরীক্ষার বিগত বছরগুলির প্রশ্ন ব্যাংক কিংবা আর্কাইভ হিসেবে তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, শুধুমাত্র শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষদেরও অনেক সময় বিগতবছরের প্রশ্নের তথ্য উ...

SSC Board Questions | এসএসসি সকল বোর্ড প্রশ্ন ২০১৯

বিগত ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর ২১ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবার মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা হলো ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন।  শিক্ষা ও প্রযুক্তি সাইটে উক্ত পরীক্ষার সকল প্রশ্ন ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে যাতে করে আগামী বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুতিকে আরো বেগবান করতে পারে। ২০২০ সালের প্রশ্নগুলো পেতে নিম্নে প্রদত্ত লিংকে ভিজিট করুন। https://edutechinfobd.blogspot.com যথারীতি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সব শিক্ষার্থীর মাঝে ইংরেজি ও গণিত পরীক্ষা নিয়ে একটা আলাদা টেনশন লক্ষ করা যায়। এ বছর এসএসসি ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় ৪নং সেটের প্রশ্নপত্রটি নির্বাচিত হয়। তিন ঘন্টার এই পরীক্ষায় পুরোটায় লিখিত। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে এবং অন্যান্য বিষয়ের মতো এই পরীক্ষায় কোন নৈর্ব্যক্তিক থাকে না। পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে সেগুলো হলো- প্রথম সিন প্যাসেজটি এসেছে বোর...

© EdutechinfoBD 2017-