![]() |
প্রজ্ঞাপন
সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেমকে উদ্বুদ্ধ করতে নিম্নোক্ত দিকনির্দেশনা মূলক একটি 'শপথ' দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশে পাঠ করানোর জন্য অনুরোধ করা হলো:
"আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না।
হে মহান আল্লাহ/ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি।
আ-মী-ন।"
স্কুল ও কলেজে শপথ পাঠের গুরুত্ব অনেক গভীর এবং বহুমাত্রিক। এটি শিক্ষার্থীদের মনোবৃত্তি, নৈতিকতা এবং নাগরিক দায়িত্ববোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে এর কিছু প্রধান দিক তুলে ধরা হলো:
🧭 ১. নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠন
শপথ পাঠ শিক্ষার্থীদের সততা, শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে। এটি তাদের জীবনের আদর্শ ও নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে।
🏛️ ২. নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি
শপথে সাধারণত দেশপ্রেম, আইন মানা, অন্যের অধিকার রক্ষা ইত্যাদি বিষয় থাকে, যা শিক্ষার্থীদের একটি সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
📣 ৩. ঐক্য ও শৃঙ্খলার চর্চা
শপথ পাঠ একটি সম্মিলিত কর্মকাণ্ড। এতে একসাথে উচ্চারণের মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে দলগত অনুভূতি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের মনোভাব জন্ম নেয়।
🧠 ৪. মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব
প্রতিদিন শপথ পাঠ শিক্ষার্থীদের মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি দিনের শুরুতে তাদের একটি প্রেরণাদায়ী ও ফোকাসড মানসিকতা গঠনে সহায়তা করে।
🗣️ ৫. ভাষা ও উচ্চারণ চর্চা
শপথ পাঠ নিয়মিত করলে ছাত্রদের উচ্চারণ দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং ভাষা ব্যবহার উন্নত হয়।
Comments
Post a Comment
__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__