📢এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির নিয়োগের নির্দেশনা-২০২৫
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সম্প্রতি একটি পরিপত্র প্রকাশ করেছে যেখানে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়মাবলী ও পরীক্ষার কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পরিপত্রে প্রার্থীদের লিখিত, ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মূল বিষয়বস্তু
📌 শূন্য পদের তালিকা প্রকাশ
-
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে শূন্য পদ যাচাই করে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
-
১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে তালিকা পাঠাতে হবে।
-
শূন্য পদ নির্ধারণে ২০২১ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
📌 লিখিত পরীক্ষা
-
বিষয়: বাংলা, সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি, মানসিক দক্ষতা
-
মোট নম্বর: ২০
-
বাংলা – ১০
-
সাধারণ জ্ঞান/ইংরেজি/মানসিক দক্ষতা – ১০
-
-
পাশ নম্বর: ৪০%
📌 ব্যবহারিক পরীক্ষা
-
পদভেদে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
-
বাংলা টাইপিং (১০ মিনিট, ২০ শব্দ) → মোট নম্বর: ৫০
-
ইংরেজি টাইপিং (১০ মিনিট, ২৫ শব্দ) → মোট নম্বর: ৫০
-
পাশ নম্বর: ৫০%
-
এছাড়া Standard Aptitude Test অনুষ্ঠিত হবে।
📌 মৌখিক পরীক্ষা
-
লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
-
বোর্ডের মাধ্যমে মূল্যায়ন হবে।
-
সরকারি বিধি অনুযায়ী নম্বর প্রদান করা হবে।
🔍 গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ
✅ ১. নিয়োগ কাঠামো
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী কর্মচারী, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা যাচাইয়ের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন হবে।
✅ ২. নিয়োগ কমিটি গঠন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
কমিটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নির্বাচন পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া তদারকি করবে।
✅ ৩. পরীক্ষার বিষয়বস্তু
পরীক্ষার বিষয়, নম্বর বিভাজন এবং সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এবং পদভিত্তিক কারিগরি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
✅ ৪. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
ফলাফল প্রকাশ, রেকর্ড সংরক্ষণ এবং কোটা নীতিমালা অনুসরণে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পক্ষপাতিত্ব বা অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রয়েছে।
✅ ৫. ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার
আবেদন গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ এবং প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
📝 পরিশেষে
এই পরিপত্রটি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ এবং দক্ষ করে তুলবে। যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ নিশ্চিত করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

Comments
Post a Comment
__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__