শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় ৫০০০টি আইসিটিডি ডিজিটাল ল্যাবে Walton DigiTech Industries Ltd কর্তৃক প্রদানকৃত ল্যাপটপসমূহের BIOS এর লোগো অপসারণ ও আপডেটকরণ প্রসঙ্গে।
বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” দেশের শিক্ষা খাতে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের (আইসিটি ডিভিশন) বাস্তবায়নে এবং Walton DigiTech Industries Ltd-এর সরবরাহকৃত আধুনিক ল্যাপটপ দিয়ে সারাদেশে ৫০০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটিভিত্তিক ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ৩১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব ল্যাপটপে বিদ্যমান BIOS লোগো অপসারণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
✔️ ব্যবহারকারীরা (শিক্ষার্থী ও শিক্ষক) নিরপেক্ষ ও মানসম্মত অভিজ্ঞতা পাবেন।
✔️ ল্যাপটপের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রায় শিক্ষা খাতের ডিজিটাল রূপান্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষিতে, সরকারি প্রকল্পভিত্তিক ল্যাপটপে BIOS লোগো অপসারণের পদক্ষেপ কেবল একটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয়; বরং এটি একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত, যা শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা, স্বচ্ছতা এবং মান বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
✔️ ল্যাপটপে বিদ্যুৎ সংযোগসহ চার্জার প্লাগটি সর্বক্ষণ যুক্ত রাখুন আপডেট না হওয়া পর্যন্ত।
✔️ কোনভাবেই না বুঝে বায়োস আপডেট সংক্রান্ত কাজটি করবেন না। এতে ল্যাপটপটি স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে ।
🔔 আপডেট BIOS ডাউনলোড করুন
BIOS লোগো কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
ল্যাপটপ চালু হওয়ার সাথে সাথেই যে প্রাথমিক সফটওয়্যার কাজ শুরু করে, সেটিই হলো BIOS (Basic Input/Output System)। সাধারণত ল্যাপটপ নির্মাতারা BIOS-এ নিজেদের ব্র্যান্ড লোগো সংযুক্ত রাখে। তবে সরকারিভাবে কেনা কিংবা প্রকল্পের অধীনে সরবরাহকৃত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে এই লোগো অপসারণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় কয়েকটি কারণে:
♦️ সরকারি মালিকানা ও স্বীকৃতি প্রদর্শন
– প্রকল্পের ল্যাপটপগুলো যেহেতু সরকারি অর্থায়নে সংগ্রহ করা, তাই সেগুলোতে নির্দিষ্ট বেসরকারি কোম্পানির লোগো প্রদর্শিত হওয়া অনেক সময় অনুপযুক্ত মনে হতে পারে।
♦️ একক মানদণ্ড বজায় রাখা
– সারাদেশে একরূপ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে BIOS থেকে ব্র্যান্ড লোগো বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ স্ক্রিন প্রদর্শন করা হলে শিক্ষার্থীরা কোনো বিভ্রান্তিতে পড়বে না।
♦️ দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা
– BIOS কাস্টমাইজেশন কম থাকলে ডিভাইসগুলো আপডেট, মেইনটেন্যান্স এবং রিপেয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয়।
কেন এখন এই পদক্ষেপ?
৫০০০টির মতো বিপুল সংখ্যক ল্যাপটপ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সাক্ষরতা অর্জনের মূল হাতিয়ার। তাই যেকোনো ব্র্যান্ডের প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের উপযোগী অবস্থায় রাখা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
BIOS লোগো অপসারণের মাধ্যমে:
✔️ প্রকল্পভিত্তিক সরকারি ব্র্যান্ডিং স্পষ্ট হবে।✔️ ব্যবহারকারীরা (শিক্ষার্থী ও শিক্ষক) নিরপেক্ষ ও মানসম্মত অভিজ্ঞতা পাবেন।
✔️ ল্যাপটপের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হবে।
সামনে কী করা হবে?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের নির্দেশনার পর এখন Walton DigiTech Industries Ltd কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগতভাবে BIOS লোগো অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এটি এককালীন কাজ হলেও ভবিষ্যতে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত যেকোনো ডিভাইসে ব্র্যান্ড নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নজির তৈরি করবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রায় শিক্ষা খাতের ডিজিটাল রূপান্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষিতে, সরকারি প্রকল্পভিত্তিক ল্যাপটপে BIOS লোগো অপসারণের পদক্ষেপ কেবল একটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয়; বরং এটি একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত, যা শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা, স্বচ্ছতা এবং মান বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
BIOS লোগো অপসারণের নিয়মাবলী ও সতর্কতা:
✔️ ফোল্ডারের ভিতর ম্যানুয়ালটি ভালো করে পড়ুন।✔️ ল্যাপটপে বিদ্যুৎ সংযোগসহ চার্জার প্লাগটি সর্বক্ষণ যুক্ত রাখুন আপডেট না হওয়া পর্যন্ত।
✔️ কোনভাবেই না বুঝে বায়োস আপডেট সংক্রান্ত কাজটি করবেন না। এতে ল্যাপটপটি স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে ।
🔔 আপডেট BIOS ডাউনলোড করুন
Views: loading...

Comments
Post a Comment
__আপনার মতামত নিচে লিখুন। ধন্যবাদ।__